# প্রসঙ্গ কুরবানীর পশুর চর্বি বিক্রি*


চর্বি পশুর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ। অনেক গৃহিনীই কুরবানীর গরুর চর্বি আগুনে জাল দিয়ে গলিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সংরক্ষণ করে রাখেন। পরে প্রয়োজন মত নানা খাবারে তা ব্যাবহার করে থাকেন। গরুর চর্বিতে ভাজা পরোটা যারা খাননি তারা এর কদর বুঝবেন না।
এবার আসল কথায় আসি। কুরবানী ঈদের পরে একদল সিজনাল ব্যবসায়ীর আবির্ভাব ঘটে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকায় এদের আনাগোনা বেশি থাকে। এরা ফেরীওয়ালদের মত হাঁক ছাড়ে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরুর গলিত বা সাধারণ চর্বি কিনে থাকে। অনেক গৃহিনীই এগুলো তাদের কছে বিক্রি করে দেন।
ফিকহে ইসলামীর আলোকে বিক্রিত চর্বির মূল্য বিক্রেতা (কুরবানীদাতা বা তার পরিবারের সদস্য) নিজে ভোগ করতে পারবেন না। পশুর চামড়া বিক্রয়ের মূল্য যেমনিভাবে সদকা করতে হয় ঠিক তেমনি চর্বির বিক্রিত মূল্যও সদকা করতে হবে। 
বিষয়টি আমাদের সমাজে খুব বেশি আলোচিত নয়। তাই ঘরের কর্তা বা গৃহিনীরা এ বিষয়ে ততটা সর্তক নন।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট