সমস্যা গুরুতর হলে কোনো কোনো বাবা-মা তার সন্তানকে মনোবিদের কাছে নিয়ে যান। তখন এই বিষয়টি উন্মোচিত হয়। তাই আপনার সন্তানের অবাধ্যতা যদি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন আপনি বরং আপনার আচরণ সংযত করুন। তার সাথে রাগারাগি না করে তাকে বুঝিয়ে বলুন কেন তার সে সব কাজ করা উচিত বা উচিত নয়।
আপনার সন্তান যখন তার কোনো কথা আপনাকে শোনাতে আসে, তখন তার কথায় গুরুত্ব না দিলে সে চরম অপমানিত ও কষ্ট পায়। তখন যদি তার কথা না শোনা হয় বা নিজেদের চাহিদার উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় তাহলে সে দিনে দিনে অবাধ্য হয়ে উঠবে। তাই সে অন্যায় আবদার করলেও তার পক্ষের যুক্তিগুলো শুনুন, তাতে সম্পর্ক সহজ থাকবে। কেবল নির্দেশ দিতে থাকলে শিশুর বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। তার বয়স অনুযায়ী শব্দ নির্বাচন করে বুঝিয়ে বলতে হবে। ক্রমাগত ধমক না দিয়ে তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
সন্তান যখন বন্ধু ও স্কুলের গল্প বলতে আসে, তখন যদি তাকে থামিয়ে দেয়া হয় তবে তার মধ্যে হতাশা তৈরি হতে থাকে। চাপা অসন্তোষ থেকে সন্তান অবাধ্য হয়ে উঠতে পারে। আবার সারাক্ষণ সন্তানের সমালোচনা ও অন্যের সাথে তুলনা করাও আমাদের অভিভাবকদের অভ্যাস। এমন অভ্যাস থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে।
অভিভাবকের মুখের সমালোচনা শিশুরা নিতে পারে না; ফলে সে অবাধ্য হয়ে উঠে।
অবাধ্য সন্তানকে কড়া শাসন করে আরো একগুঁয়ে করে তোলাও বোকামি যা অধিকাংশ বাবা মাই করে থাকেন। বরং তার দিনলিপিতে কিছু শৃঙ্খলা নিয়ে আসুন। খুব বেশি সমস্যা হলে মনোবিদের সাহায্য নিন।
খুব বেশি শাসন না করে শিশুকে বুঝিয়ে বলুন। বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলুন যাতে সে সব কথা আপনার সাথে শেয়ার করে। এভাবেই সে আপনার কথা শুনবে। শাসন নয়, বরং বন্ধু হয়ে পাশে থাকুন, সন্তান আপনার কথা শুনবে।