নারীদেরকে বলছিঃ... যে সকল নির্লজ্জ, বেহায়া নারীরা বাসা থেকে বেপর্দা হয়ে, গায়ে পারফিউম মেখে বের হন, তাদের এভাবে বের হওয়ার চাইতে বাসার টয়লেট থেকে গু নিয়ে, সারা গায়ে গু মেখে বাসা থেকে বের হওয়া কটি কটি গুনে উত্তম। কারন আপনি যেহেতু পরিপূর্ণ পর্দা করবেনি না, তাই পর্দার পরিবর্তে এই পন্থা অবলম্বন করলেও হয়ত আপনি সেই কঠিন জাহান্নাম থেকে বেঁচে যেতে পারেন, যা বাঁচতে পারতেন না ঐভাবে অশ্লীল, বেপর্দা হয়ে, গায়ে পারফিউম মেখে বাসা থেকে বের হলে।
আর যে সকল মেয়েরা পর্দার নামে ফ্যাশন করছেন অর্থাৎ যারা টাইট ফিটিং বোরকা পরছেন যার ফলে আপনার পাছা, বুক বা আপনার শরীরের আকর্ষণীয় অঙ্গগুলো স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে, কেউবা আবার শরীর ঢাকছেন তো মুখ খোলা রাখছেন, কেউবা আবার মুখ ঢাকছেন তো বুক খোলা রাখছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদেরকেও বলছি, দয়াকরে হয় আপনি পরিপূর্ণ পর্দায় ফিরে আসুন, আর না হয়ত আপনিও উপরে বর্ণিত ঐ "গু ফর্মুলা" ইউস করুন। কারন এসকল ফ্যাশনঅ্যাবোল পর্দাও আপনাকে ঐ কঠিন জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে পারবে না।
এবার বলছি ঐ সকল নির্লজ্জ মেয়েদের কথা, যারা নিজেদের ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ সাজুগুজু করে তার ফুল ছবিই দিয়ে থাকেন, কেউবা আবার মাথায় ওড়না বা নেকাব পেঁচিয়ে মুখে পাওডার মেখে শুধু মুখের ছবি দিয়ে থাকেন, কেউবা আবার ভ্রুপ্লাক করে শুধু চোখের ছবি দিয়ে থাকেন, কেউবা আবার হাতে মেহেদী রাঙিয়ে হাতের ছবি দিয়ে থাকেন ইত্যাদি ইত্যাদি। এদের সকলকেই বলছি, ইসলামের দৃষ্টিতে এসবগুলো কাজই হারাম বা কবিরাহ গুনাহ। আর একটিমাত্র কবিরাহ গুনাহই আপনাকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং হয় এই সকল নির্লজ্জ কাজ থেকে ফিরে আসুন আর না হয়ত এভাবে সাজুগুজু করে ফেসবুকে ছবি না দিয়ে, উপরে বর্ণিত ঐ "গু ফর্মুলা" ইউস করে আপনার সারা মুখে গু মেখে ছবি উঠে তার পর ফেসবুকে ছবি আপলোড দিন।
পুরুষদেরকে বলছিঃ রাস্তায়, হাটে-বাজারে, শপিং মলে, কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে বা যেখানেই হোক না কেন, কোন বেপর্দা বেহায়া অশ্লীল মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেয়ার চাইতে, রাস্তায় পরে থাকা "কুত্তার গু" বা "মানুষের গু" এর দিকে তাকিয়ে থাকা কটি কটি গুনে উত্তম। মনেরাখবেন, এই সকল বেহায়া অশ্লীল মেয়েরা যদি তওবা করে অশ্লীলতা থেকে ফিরে না আসে, তবে তারা "কুত্তার গু" বা "মানুষের গু" থেকেও নিকৃষ্ট এবং ঘৃণিত। কারন এই সকল বেহায়া অশ্লীল মেয়েরা জাহান্নামে যাবেতো যাবেই, সাথে তাদের প্রতি আপনার কুদৃষ্টি দেয়ার ফলে আপনাকে সাথে নিয়ে জাহান্নামে যাবে। পক্ষান্তরে "কুত্তার গু" বা "মানুষের গু" এর দিকে সারাদিন বা সারারাত তাকিয়ে থাকলেও আপনাকে জাহান্নামে যেতে হবে না।
সকলকে বলছি ভাল করে শুনে রাখুন, এইসকল কথাগুলো আমি কাউকে ছোট করার জন্য বলিনি, বরং সকলকে সেই কঠিন জাহান্নাম থেকে সতর্ক করতেই কথাগুলো বলেছি। আজ যেসকল মেয়েরা তাদের আকর্ষণীয় অঙ্গ-প্রতঙ্গ দেখিয়ে বেড়াচ্ছে, তাদের চেহারা খোলা রেখে রাস্তায় চলছে বা ফেসবুকে ছবি দিচ্ছে, কাল কিয়ামতের ময়দানে এদের চেহারা এবং অঙ্গ-প্রতঙ্গ আগুন দিয়ে জ্বালানো হবে, আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে এই সুন্দর চেহারাকে বীভৎস করে দেয়া হবে। কোরআন থেকে উক্তি দিচ্ছি ভাল করে মাথায় ঢুকিয়ে নিয়ে নিজেকে পরিবর্তন করে নিন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘অগ্নি তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে এবং তারা তথায় থাকবে বীভৎস চেহারায়’ (সূরা মু’মিনুনঃ ১০৪)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, ‘যেদিন তাদের মুখমণ্ডল অগ্নিতে উলট পালট করা হবে সে দিন তারা বলবে, হায়! আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করতাম এবং রাসূলের আনুগত্য করতাম’! (সূরা আহযাবঃ ৬৬)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, এতে সন্দেহ নেই যে, আমার নিদর্শন সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। (সুরা নিসাঃ ৫৬)