তাকলীদ একটি নিতান্তই মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায় মানুষের তাকলীদ করার প্রবনতা। মূলত তাকলীদ ছাড়া মানুষের জীবন অচল। মানুষ নিজের স্বাস্থের চিকিৎসার মত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয় যাতে তার জীবন মরণের প্রশ্ন। সেখানেও দেখা যায় ডাক্তারের তাকলীদ করে থাকে। জীবনোপকরণ তৈরির ক্ষেত্রেও তাকলীদ করে থাকে ইঞ্জিনিয়ারের। ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবনে তাকলীদ করতে হয় অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের। এ
ক্ষেত্রগুলোতে তাদের কাছে কোন প্রমাণ চাওয়া হয় না; বরং তাদের জ্ঞানের উপর সুধারণাবশত: তাদের কথার উপর আস্থা রেখে মেনে নেয়া হয়। এসব বিষয়ে তাকলীদ কারীগণ শুধু মাত্র এতটুকু দায়িত্ব পালন করে থাকে যে, তাদের দৃষ্টিতে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি নির্বাচন করে। অবশ্য কেউ যদি অযোগ্য ব্যক্তিকে তাকলীদের জন্য নির্বাচন করে, তাহলে তা হয় নিন্দনীয়। বিষয়টি এতই স্পষ্ট যে, কেউ এতে দ্বীমত পোষণ করে না বা করার অবকাশ রাখে না। এতদ্বসত্ত্বেও বিপত্তি ঘটে কেবল দ্বীনী ও ধর্মীয় বিষয়াসয়ে। একদল লোক ধর্মীয় ব্যাপারে সব ধরণের তাকলীদের নিন্দায় লেগে আছে। মূলত এই বিরোধটির অনেকাংশই ভুল বুঝাবুঝির কারণে সৃষ্টি হয়েছে। বাসত্মবতার প্রতি লক্ষ্য করলে একথা প্রতিয়মান হয় যে, মূল ব্যত্তয়টি ঘটেছে তাকলীদকে সংজ্ঞায়িত করা নিয়ে। তাই আমার আলোচনা তাকলীদের পরিচয় ও সংজ্ঞার সাথে আবর্তিত হবে।
লেখকঃ M.M Hasan
এ বিভাগ হতে আরও কিছু পোষ্ট
- ব্লগার মন্তব্য
- ফেইসবুক মন্তব্য