# ভারত উপমহাদেশ স্বাধীনতায় ওলামায়ে দেওবন্দের অবদান

মাওলানা মাহমুদুল হাসান...
ভারতের যত এলাকায় ইংরেজদের বিরুদ্ধেমুক্তিযুদ্ধ চলছিল এর মধ্যে শ্যামলি নামের এক জায়গাআছে ।ঐ জায়গায় ইংরেজদের বিরুদ্ধে মুসলমান মুক্তি বাহিনী নিয়ে যিনিমুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন তার নাম ছিল কাসেম নানুতুবি (রহঃ) ।ইনি বংশগত দিকথেকে হযরত আবু বক্বর (রাঃ) এর খান্দান ।আর এই দেওবন্দ মাদ্রাসারপ্রধান প্রতিষ্ঠাতা হলেন আল্লামা কাসেম নানুতুবি (রহঃ) ।আল্লামা কাসেম নানুতুবি (রহঃ) সহ যারা মাদ্রাসা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেনমধ্যে একজনের নাম ছিল মাওলানা রফিউদ্দীন ।মাওলানারফিউদ্দিন সপ্নে দেখেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ)ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ নামক বস্তিতে নিজের হাতের লাঠি দিয়ে একটারেখা টেনে বললেন তোমাদের পরিকল্পিত কাওমি মাদ্রাসার ঘর আমার আমার অংকিত রেখায় রেখায় নির্মাণ কর । ঘুম ভাঙার পরে বাস্তবেওদেওবন্দের মাটিতে সপ্নে দেখা নবীজির হাতের লাঠিমোবারকের রেখা পাওয়া যায় ।এই রেখায় রেখায় ১৮৬৬ সালেদারুল উলুম দেওবন্দে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়।এই জন্য দেওবন্দের আধ্যাত্বিক প্রতিষ্ঠাতা হযরতমুহাম্মদ সঃ কে বলা হয় । পরবর্তিতে চিন্তাধারা আরফিকির নিয়ে হাজার হাজার আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়িখ,
সংস্কার,মুজাদ্দিদ,রাজনীতিক,মুহাদ্দিস,মুফাসসির।যারা এদেশ থেকে ইংরেজ এবং ইংরেজি কালচার ওসভ্যতা বিতাড়নে ছিলেন সদা তৎপর সচেষ্ট ও সক্রিয় ।যাদের ত্যাগ এবংকোরবানী আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুর্বার আন্দোলনের মুখে ইংরেজরা এদেশ থেকে তাদের তল্পিতল্পা সহপলায়নে বাধ্য হয় ।অবশেষে ১৯৪৭ সালের ১৪,১৫ আগষ্ট ভারতীয় উপমহাদেশবাসী তাদের গোলামির জিঞ্জির থেকে মুক্ত এবংস্বাধীন হয় ।যেসব ওলামায়ে কেরাম স্বাধীনতার সুর্যছিনিয়ে আনতে সিপাহসালারের ভূমিকা পালন করেন,তাদেরমধ্যে প্রথম কাতারে এবং শীর্ষ স্হানে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতমহলেন, দেওবন্দেরপ্রথম ছাত্র, শাইখুল হিন্দ, মাহমুদ হাসান দেওবন্দী (রহঃ),দেওবন্দেরআরেক ছাত্র, সৈয়দ হুসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ), আল্লামা হিফজুররহমান সিওহারবী (রহঃ), আল্লামা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধী (রহঃ) সহ প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম ।



শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট