তিনজন শায়খ হলেন শায়খ আব্দুল আযিয আব্দুল্লাহ বিন বায রাহঃ, শায়খ মুহাম্মদ ইবনে সালেহ আল উসাইমিন রাহঃ, শায়খ সালেহ আল ফাউযান হাফিযাহুল্লাহ।
______________________________
শায়খ আব্দুল আযিয আব্দুল্লাহ বিন বায রাহঃ
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
শায়খ বলেন -
আহকাম ও বিধানের ক্ষেত্রে এ ধরনের মাযহাবী ইখতিলাফ আমাদের দ্বিনের জন্য দোষের কিছু নয় এবং তা স্ববিরধিতাও নয়। এ ধরনের মতভেদ না হওয়া অসম্ভব। এমন কোন জাতি পাওয়া যাবে না যাদের আইন-ব্যাবস্থায় এ ধরনের ইজতিহাদী মতপার্থক্য নেই।
‘অতএব বাস্তব সত্য এই যে, এ ধরনের মতভেদ না হওয়াই অসম্ভব। কেননা একদিকে যেমন নুসূসে শরঈ অনেক ক্ষেত্রে একাধিক অর্থের সম্ভাবনা রাখে অন্যদিকে শরঈ নস সম্ভাব্য সকল সমস্যাকে সুস্পষ্টভাবে বেষ্টন করতে পারে না। কারন নুসূস হল সীমাবদ্ধ আর নিত্যনতুন সমস্যার তো কোন সীমা নেই।
‘সুতরাং যে মতপার্থক্য কল্যান ও রহমতের ধারক তা বিদ্যমান থাকলে দোষ কেন হবে? বরং এ তো মুমিন বান্দার প্রতি আল্লাহ তায়ালার রহমত ও অনুগ্রহ। বরং মুসলিম উম্মাহর গর্ব ও গৌরবের বিষয়।
‘কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, কিছু মুসলমান তরুন বিশেষত করে যারা বাইরে লেখাপড়া করতে যায় তাদের ইসলামী জ্ঞানের দুর্বলতার সুযোগে কিছু গোমরাহকারী লোক তাদের সামনে ফিকহী মাসআলার এ জাতীয় মতপার্থক্যকে আকীদার মতভেদের মতো করে তুলে ধরে। অথচ এ দু’য়ের মাঝে আকাশ-পাতালের ব্যাবধান!
‘দ্বিতীয়ত যে শ্রেনীর লোকেরা মানুষকে মাযহাব বর্জন করার আহবান করে এবং ফিকহের মাযহাব ও তার ইমাম গনের সমালোচনা করে এবং মানুষকে নতুন ইজতিহাদের মধ্যে নিয়ে আসতে চায় তাদের কর্তব্য, এই নিকৃষ্ট পন্থা পরিহার করা। যা দ্বারা তারা মানুষকে গোমরাহ করছে এবং তাদের ঐক্যকে বিনষ্ট করছে। অথচ এখন প্রয়োজন ইসলামের দুশমনদের ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় নিজেদের ঐক্যকে সুদৃঢ় করা। - মাজাল্লাতুল মাজলায়িল ফিকহী, রাবিতাতুল আলামিন ইসলামী, মক্কা মুকাররমা বর্ষঃ ১, সংখ্যাঃ ২, পৃষ্ঠাঃ ৫৯,২১৯
________________________________
শায়খ মুহাম্মদ ইবনে সালেহ আল উসাইমিন রাহঃ
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
সাধারণ মানুষের উপর স্থানীয় আলেমদের তাকলীদ করা জরুরি মর্মে শায়খ যা বলেছেন। কেউ যদি বলে, যখন যে ধারার আলেমকে ভালো লাগবে তার অনুসরণ করবো, এতে দোষের কী আছে?
শায়েখ বলেন, ‘না, আপনার জন্য এমনটা করার সুযোগ নেই। কারণ আপনার উপর জরুরি কেবল তাকলীদ করা। আপনার পক্ষ হতে তাকলীদের অধিক হকদার হচ্ছেন আপনার এলাকার আলেমগণ। আপনি যদি আপন আলেমদের ছেড়ে অপর আলেমদের তাকলীদ করেন, তাহলে ফেতনা সৃষ্টি হবে। অথচ (আপন দেশের আলেমদের ছেড়ে) অপর দেশের আলেমদের অনুসরণে আপনার কাছে কোনো শরঈ দলিল নেই। (সুতরাং যে বিষয়ে শরঈ দলিল নেই, উপরন্তু তা ফেতনা সৃষ্টিরও কারণ, এমন কাজ কি শুধু আপনার ভালো লাগা না লাগার ভিত্তিতে অনুমোদিত হতে পারে? প্রিয় পাঠক একটু ভেবে দেখুন!) এজন্যই সাধারণ মানুষের উপর আপন এলাকার নির্ভরযোগ্য আলেমদের তাকলীদ করা জরুরি। আমাদের শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে সা’দীও এ-মতের জোর সমর্থক। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য নিজের এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকার আলেমদের অনুসরণ করার অনুমতি নেই। কারণ এতে করে ঝগড়া-ফাসাদ সৃষ্টি হয়। সুতরাং আমাদের এলাকার কেউ যদি উটের গোশত খেয়ে বলে যে, আমি ইরাকের মাযহাব অনুসারে অযু করবো না, (অথচ তার এলাকার আলেমদের মাযহাব
অনুযায়ী উটের গোশত খেলে অজু করা আবশ্যক) তাহলে আমরা তাকে বলবো, এমনটা করার সুযোগ নেই। তোমার উপর অযু ওয়াজিব। কারণ তোমার এলাকার হাম্বলী মাযহাব অনুসারী আলেমদের মত এটাই। আর তুমি তো তোমার এলাকার আলেমদের অনুসারী!’ (লিকাআ-তুল বাবিল মাফতুহ ৩২/১৯)
______________________________
শায়খ আব্দুল আযিয আব্দুল্লাহ বিন বায রাহঃ
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
শায়খ বলেন -
আহকাম ও বিধানের ক্ষেত্রে এ ধরনের মাযহাবী ইখতিলাফ আমাদের দ্বিনের জন্য দোষের কিছু নয় এবং তা স্ববিরধিতাও নয়। এ ধরনের মতভেদ না হওয়া অসম্ভব। এমন কোন জাতি পাওয়া যাবে না যাদের আইন-ব্যাবস্থায় এ ধরনের ইজতিহাদী মতপার্থক্য নেই।
‘অতএব বাস্তব সত্য এই যে, এ ধরনের মতভেদ না হওয়াই অসম্ভব। কেননা একদিকে যেমন নুসূসে শরঈ অনেক ক্ষেত্রে একাধিক অর্থের সম্ভাবনা রাখে অন্যদিকে শরঈ নস সম্ভাব্য সকল সমস্যাকে সুস্পষ্টভাবে বেষ্টন করতে পারে না। কারন নুসূস হল সীমাবদ্ধ আর নিত্যনতুন সমস্যার তো কোন সীমা নেই।
‘সুতরাং যে মতপার্থক্য কল্যান ও রহমতের ধারক তা বিদ্যমান থাকলে দোষ কেন হবে? বরং এ তো মুমিন বান্দার প্রতি আল্লাহ তায়ালার রহমত ও অনুগ্রহ। বরং মুসলিম উম্মাহর গর্ব ও গৌরবের বিষয়।
‘কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, কিছু মুসলমান তরুন বিশেষত করে যারা বাইরে লেখাপড়া করতে যায় তাদের ইসলামী জ্ঞানের দুর্বলতার সুযোগে কিছু গোমরাহকারী লোক তাদের সামনে ফিকহী মাসআলার এ জাতীয় মতপার্থক্যকে আকীদার মতভেদের মতো করে তুলে ধরে। অথচ এ দু’য়ের মাঝে আকাশ-পাতালের ব্যাবধান!
‘দ্বিতীয়ত যে শ্রেনীর লোকেরা মানুষকে মাযহাব বর্জন করার আহবান করে এবং ফিকহের মাযহাব ও তার ইমাম গনের সমালোচনা করে এবং মানুষকে নতুন ইজতিহাদের মধ্যে নিয়ে আসতে চায় তাদের কর্তব্য, এই নিকৃষ্ট পন্থা পরিহার করা। যা দ্বারা তারা মানুষকে গোমরাহ করছে এবং তাদের ঐক্যকে বিনষ্ট করছে। অথচ এখন প্রয়োজন ইসলামের দুশমনদের ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় নিজেদের ঐক্যকে সুদৃঢ় করা। - মাজাল্লাতুল মাজলায়িল ফিকহী, রাবিতাতুল আলামিন ইসলামী, মক্কা মুকাররমা বর্ষঃ ১, সংখ্যাঃ ২, পৃষ্ঠাঃ ৫৯,২১৯
________________________________
শায়খ মুহাম্মদ ইবনে সালেহ আল উসাইমিন রাহঃ
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
সাধারণ মানুষের উপর স্থানীয় আলেমদের তাকলীদ করা জরুরি মর্মে শায়খ যা বলেছেন। কেউ যদি বলে, যখন যে ধারার আলেমকে ভালো লাগবে তার অনুসরণ করবো, এতে দোষের কী আছে?
শায়েখ বলেন, ‘না, আপনার জন্য এমনটা করার সুযোগ নেই। কারণ আপনার উপর জরুরি কেবল তাকলীদ করা। আপনার পক্ষ হতে তাকলীদের অধিক হকদার হচ্ছেন আপনার এলাকার আলেমগণ। আপনি যদি আপন আলেমদের ছেড়ে অপর আলেমদের তাকলীদ করেন, তাহলে ফেতনা সৃষ্টি হবে। অথচ (আপন দেশের আলেমদের ছেড়ে) অপর দেশের আলেমদের অনুসরণে আপনার কাছে কোনো শরঈ দলিল নেই। (সুতরাং যে বিষয়ে শরঈ দলিল নেই, উপরন্তু তা ফেতনা সৃষ্টিরও কারণ, এমন কাজ কি শুধু আপনার ভালো লাগা না লাগার ভিত্তিতে অনুমোদিত হতে পারে? প্রিয় পাঠক একটু ভেবে দেখুন!) এজন্যই সাধারণ মানুষের উপর আপন এলাকার নির্ভরযোগ্য আলেমদের তাকলীদ করা জরুরি। আমাদের শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে সা’দীও এ-মতের জোর সমর্থক। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য নিজের এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকার আলেমদের অনুসরণ করার অনুমতি নেই। কারণ এতে করে ঝগড়া-ফাসাদ সৃষ্টি হয়। সুতরাং আমাদের এলাকার কেউ যদি উটের গোশত খেয়ে বলে যে, আমি ইরাকের মাযহাব অনুসারে অযু করবো না, (অথচ তার এলাকার আলেমদের মাযহাব
শায়খ ইবনে উসাইমিন (রহঃ) আরো বলেন বলেছেন-
“কোন মুসলমান যদি এমন হয় যে, সে উলামায়ে কেরামের বিভিন্ন মতামতের মধ্যে একটিকে আরেকটির উপর প্রাধান্য দিতে না পারে, তখন তার জন্য জরুরি হল, সে আলেমদেরকে জিজ্ঞেস করবে যাদের ইলম ও দ্বীনদারির ব্যাপারে সে আস্থাশীল এবং তাদের ফতোয়ার উপর আমল করবে। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ,
“যদি তোমরা না জেনে থাক, তবে যারা জানে তাদেেেক জিজ্ঞেস করো”
(الخلاف بين العلماء أسبابه وموقفنا منه للشيخ ابن عثيمين ص: ২৩ )
___________________________
শায়খ সালেহ আল ফাউযান হাফিযাহুল্লাহ
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
বড় বড় ইমামদের মাযহাব মানতে যেখানে সমস্যা নেই সেখানে সাধারণ মানুষের মাযহাব মানতে সমস্যা কিসের। এ মর্মে আলোচনায় প্রখ্যাত সৌদি আলেম শায়খ সালেহ আল ফাউযান লিখেছেন, -
‘ভেবে দেখুন! মুহাদ্দিসগণের মাঝে এঁরা হলেন একেকজন বড় বড় ইমাম। এঁরা সবাই মাযহাব মানতেন। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া ও ইবনুল কাইয়্যিম ছিলেন হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী। ইমাম নববী ও ইবনে হাজার আসকালানী ছিলেন শাফেঈ মাযহাবের অনুসারী। ইমাম তাহাবী হলেন হানাফী মাযহাবের অনুসারী। ইমাম ইবনু আব্দিল বার হলেন মালেকী মাযহাবের অনুসারী। (ইআনাতুল মুস্তাফীদ ১/১২)
“কোন মুসলমান যদি এমন হয় যে, সে উলামায়ে কেরামের বিভিন্ন মতামতের মধ্যে একটিকে আরেকটির উপর প্রাধান্য দিতে না পারে, তখন তার জন্য জরুরি হল, সে আলেমদেরকে জিজ্ঞেস করবে যাদের ইলম ও দ্বীনদারির ব্যাপারে সে আস্থাশীল এবং তাদের ফতোয়ার উপর আমল করবে। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ,
“যদি তোমরা না জেনে থাক, তবে যারা জানে তাদেেেক জিজ্ঞেস করো”
(الخلاف بين العلماء أسبابه وموقفنا منه للشيخ ابن عثيمين ص: ২৩ )
___________________________
শায়খ সালেহ আল ফাউযান হাফিযাহুল্লাহ
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
বড় বড় ইমামদের মাযহাব মানতে যেখানে সমস্যা নেই সেখানে সাধারণ মানুষের মাযহাব মানতে সমস্যা কিসের। এ মর্মে আলোচনায় প্রখ্যাত সৌদি আলেম শায়খ সালেহ আল ফাউযান লিখেছেন, -
‘ভেবে দেখুন! মুহাদ্দিসগণের মাঝে এঁরা হলেন একেকজন বড় বড় ইমাম। এঁরা সবাই মাযহাব মানতেন। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া ও ইবনুল কাইয়্যিম ছিলেন হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী। ইমাম নববী ও ইবনে হাজার আসকালানী ছিলেন শাফেঈ মাযহাবের অনুসারী। ইমাম তাহাবী হলেন হানাফী মাযহাবের অনুসারী। ইমাম ইবনু আব্দিল বার হলেন মালেকী মাযহাবের অনুসারী। (ইআনাতুল মুস্তাফীদ ১/১২)
সংকলনেঃ আহ্নাফ বিন আলী আহ্মাদ।